বিএনপির নির্বাচিত এমপিদের ভাগিয়ে নিয়ে সংসদকে বৈধতা দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, জনগণ এই নির্বাচন ও সংসদকে প্রত্যাখ্যান করেছে। ফলে এমপিদের ভাগিয়ে নিয়ে বৈধতা দেওয়ার অপচেষ্টা করে বৈধতা পাওয়া যাবে না।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সোয়া ৪টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।ব্রাক্ষণবাড়িয়া-২ আসনের নির্বাচিত এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভুঁইয়াকে জোর করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

তিনি বলেন, গত ২৭ এপ্রিল এক সভায় তিনি (উকিল আব্দুস সাত্তার) ঘোষণা দেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নেবেন না। তারপর সরকারি একটি সংস্থার কয়েক ব্যক্তি তার সঙ্গে নিরিবিলি কথা বলতে চাইলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপর তাকে জোর করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা হয়, কিন্তু আমাদের নেতাকর্মীদের প্রতিরোধের মুখে তা সফল হয়নি।

শুধু আব্দুস সাত্তারকে নয়, অন্য এমপিদের শপথ নেওয়া জন্যও চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন রুহল কবির রিজভী। বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপির কোনও এমপিকে শপথ নিতে সরকারের কোনও চাপ নেই। তার এই বক্তব্যের পর জনগণ নিশ্চিত হয়েছে ধানের শীষের প্রার্থীদের চাপ দেওয়া হচ্ছে শপথ নিতে। রিজভী আরও বলেন, কিছু গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে, বিএনপি চলবে তারেক রহমানের একক সিদ্ধান্তে। এই সংবাদ সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিএনপির মতো দলের কার্যক্রম পরিচালনায় শাশ্বত গণতান্ত্রিক নীতি অনুসরণ করা হয়। তিনি প্রায় প্রতি সপ্তাহে একবার দলের স্থায়ী কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেন। প্রয়োজনে দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গেও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, তারেক রহমানের একক সিদ্ধান্তে দল চলবে— এই নিউজ শুধু সত্যের অপলাপ নয়, ক্ষমতাসীনদের মদদে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরিতে নতুন কৌশল।তারেক রহমানের সিদ্ধান্তে এমপিরা শপথ নিচ্ছেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, এটা আমার জানা নেই। তবে এই রকম হলে আগে যিনি (জাহিদুর রহমান জাহিদ) শপথ নিয়েছেন তার বিরুদ্ধে দল (বহিষ্কারের) সিদ্ধান্ত নিতো না।