গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে গুইসাপ খেয়ে অসুস্থ হওয়ার এক সপ্তাহ পর ঈদের দিন সোমবার এক বাঘের মৃত্যু হয়েছে। এ বাঘের মৃত্যুর পর ওই পার্কে এখন বাঘ পরিবারের সদস্য সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২টিতে।

সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তবিবুর রহমান জানান, গত ৫আগস্ট দুপুরে গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের বাঘ বেষ্টনীতে ঢুকে পড়া বড় আকৃতির একটি গুঁইসাপকে ধরে খেয়ে ফেলে একটি বাঘ। পরে এদিন বিকেলে অন্যান্য বাঘ খাবার খেতে নির্দিষ্ট ঘরে গেলেও ওই বাঘটি আর যায়নি। পরদিন বাঘ বেষ্টনীর গেইটম্যান নজরুল ইসলাম পার্ক কর্মকর্তাকে বাঘের গুইসাপ খাওয়ার কথা জানান। বাঘটি গুঁইসাপ খাওয়ার পর থেকেই অন্য কোন খাবার খাচ্ছে না এবং ঝিমুতে শুরু করে। এরপর চিকিৎসার জন্য ৭আগস্ট ট্রাঙ্কুলাইজার ব্যবহার করে বাঘটিকে অচেতন করে চিকিৎসা দেয় হলেও তেমন কোন উন্নতি হয়নি। এরপর ৯আগষ্ট থেকে বাঘটিকে বেষ্টনীর ভিতর প্রকাশ্যে কোথাও দেখা যাচ্ছিল না। পরে ঈদের দিন সোমবার বেলা পৌণে ১২টার দিকে বাঘটিকে বেস্টনীর ভেতরে রাস্তার উপরে মৃতাবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গুঁইসাপ খেয়েই বাঘটি অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং অন্য স¦াভাবিক খাবার না খেয়ে মারা যায়। এছাড়া এটিকে বিষধর কোন সাপেও কেটে থাকতে পারে। তবে এ ব্যাপারে কোন মেডিকেল বোর্ড বা তদন্ত কমিটি গঠণ করা হয়নি।

এব্যাপারে শ্রীপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা উকিল উদ্দিন জানান, মৃত বাঘটির ময়নাতদন্ত করার পর তার দেহের নমুনা পরীক্ষার জন্য ১৩আগস্ট ঢাকার কেন্দ্রীয় রোগ গবেষণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ওই রিপোর্ট পাওয়ার পর বাঘ মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। শ্রীপুর ঊপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আরো জানান, খাদ্যের বিষক্রিয়া থেকেই বাঘটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।