Bogra Pic-02 (2)

দৈনিকবার্তা-বগুড়া, ০২ আগস্ট ২০১৫: ২০১৫ সালের আগষ্ট মাসে ১৩৮ বছর বয়সে পা রাখলেন বগুড়ার সান্তাহার পৌর এলাকার পৌঁওতা গ্রামের তৈরন নেছা। পারিবারিক দাবী মতে তৈরন নেছার জন্ম ১৮৭৭ সালে আগষ্ট মাসের কোন এক দিনে। ভাগ্যবতী এই নারী তার বয়সে দেখলেন তিনটি শতক। ছেলে মেয়ে ও নাতি নাতনীদের দাবী তৈরন নেছা বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বয়সী মানুষ। তৈরন নেছার স্বামীর নাম মৃত নায়েব আলি সরদার। প্রায় ৩৫ বছর আগে মারা গেছেন তাঁর স্বামী। তৈরন নেছার গর্ভে জন্ম নিয়েছে পাঁচ ছেলে ও চার মেয়ে। বর্তমানে তিন ছেলে ও এক মেয়ে জীবিত রয়েছেন। তৈরন নেছার ছোট ছেলে সালাউদ্দীন আহমেদ জানান, বর্তমানে ছেলে মেয়ে,নাতি নাতনী, ও পরি নাতনী মিলে তাঁদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা ১৭৮ জন। তিনি বলেন, তার বড় ভাই মৃত সোলায়মান আলীর দেওয়া তথ্যে অনূযায়ী তার মা তৈরন নেছার জন্ম ইংরেজী ১৮৭৭ সালে। সে অনূযায়ী বর্তমানে তাঁর বয়স ১৩৮ বছর। রবিবার সকালে সরেজমিন পৌওতা গ্রামে গিয়ে দেখা ও কথা হয় তৈরন নেছার সাথে।

বযসের ভারে নুইয়ে পড়লে এখনও স্পষ্টভাবে কথা বলতে পারেন তৈরন নেছা একই সাথে ভালভাবে শুনতে ও দেখতে পারেন। তৈরন নেছা বলেন,চলাফেরা করতে না পারলেও তার খাওয়া দাওয়া স্বাভাবিক। তিনি নিয়মিত নামাজ পড়েন। তিনি বলেন, তাঁর জীবনে তিনি বৃটিশ,পাকিস্থান ও বাংলাদেশ দেখলেন। বয়সের কথা জানতে চাইলে তৈরন নেছা বলেন, একশ পার করেছি অনেক আগে। এখন বয়স কত হয়েছে ছেলে মেয়েরাই বলতে পারবে। নাতি সেলিম রেজা বলেন, দাদীকে নিয়ে তাদের অনেক গর্ব। কারন এত বেশী বয়সের একজন নারী তাদের দাদী। তিনি বলেন, আমাদের জানা মতে দেশে দাদী তৈরন নেছা সবচেয়ে বেশি বয়সের মানুষ। সেলিম রেজা বলেন, দাদীর মাথার চুল এখনও কালো রয়েছে এবং খালি চোখে সবকিছু দেখতে পারেন। তিনি বলেন, সব নাতি নাতনীরা দাদীকে তাদের কাছে রাখতে চায়। দাদী বর্তমানে থাকেন ছোট ছেলে সালউদ্দীন আহমেদের কাছে। শতবর্ষি এই নারীকে এক নজর দেখার জন্য অনেকে ভীড় করে পৌঁওতা গ্রামে সালাউদ্দীনের বাড়িতে।