হাইকোর্ট

বাঘ পাচার ও বাঘ হত্যায় কারা জড়িত এবং এ বিষয়ে পুলিশের আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারপোল থেকে সরকারকে দেয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার বিচারপতি কাজী মো. রেজা-উল হক ও বিচারপতি জেএন দেব চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ রুল জারি করেন।

বাঘ পাচার ও বাঘ হত্যা নিয়ে এদেশের ৩২ জন রাজনীতিক জড়িত- গত ২৯ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিক এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদনের কপি আজ আদালতে উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মাদ আলী খান। প্রতিবেদনটি আমলে নেন আদালত। এবং বাঘ পাচার ও হত্যা বন্ধে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চান। বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহা-পরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদেরকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদনটি দাখিল করতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, শুধু চামড়া পাচারের কারণেই নয় সুন্দরবনের কাছে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করলেও হুমকিতে পড়বে বিশ্বের এই একমাত্র ম্যানগ্রোভ বনে বন্যপ্রাণি ও উদ্ভিদ। সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা তৈরি হয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার নিয়ে। এই প্রজাতির বাঘ শুধু সুন্দরবনেই পাওয়া যায়। দেশে এবং ইউনেসকো থেকে এই বিদ্যুৎপ্রকল্পের তীব্র বিরোধিতা করা হলেও সরকার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। ইতিমধ্যে ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ এই কেন্দ্র নির্মাণে চূড়ান্ত চুক্তি হয়ে গেছে। অবশ্য আদালত রামপাল প্রকল্পের কারণে বাঘ হুমকিতে পড়ার বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।