দুই নারীভক্তের ধর্ষণ মামলায় স্বঘোষিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিং দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ভারতের বিভিন্ন শহরে সহিংসতা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে হরিয়ানা রাজ্যের পঞ্চকুলা শহরে নিহত হয়েছেন ২৮ জন। আহত হয়েছেন ২৫০ জনের বেশি।

দিল্লিসহ অন্য শহরগুলোয় দ্রুত সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। আগামী সোমবার রাম রহিমের সাজা ঘোষণা করবেন আদালত। তাঁকে সরকারি হেলিকপ্টারে করে রোহতাক শহরে নেওয়া হয় বলে জানা গেছে। বিকেল ৫টার দিকে পঞ্চকুলা শহরের সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। এর পার্শ্ববর্তী শহর চণ্ডিগড়, পাঞ্জাব ও হরিয়ানা উভয় রাজ্যের রাজধানী। এর আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছোড়ে ও জলকামান নিক্ষেপ করে। পঞ্চকুলার পর সিরসা শহরেও সেনা মোতায়েন করা হয়। শহরটি রাম রহিমের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।

দিল্লিতে একটি বাস ও দুটি ট্রেনের কোচে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। বিকেল ৫টার দিকে পঞ্চকুলার আকাশ কালো আচ্ছন্ন থাকতে দেখা যায়। অ্যাম্বুলেন্সে করে আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সংবাদমাধ্যমের ওপরও হামলা হয়। এনডিটিভির লাইভ ব্রডকাস্টের ভ্যানে হামলা চালিয়ে সেটি পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়। একজন প্রকৌশলীকে ক্ষুব্ধ জনতা ধরে মাথায় আঘাত করে।

ক্যামেরায় দেখা যায়, রাম রহিমের সমর্থকরা ভয় দেখালে পুলিশ পিছু হটে যায়। পাঞ্জাবের ভাটিন্ডা ও হরিয়ানার সিরসায় দ্রুত সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পাঞ্জাবের মালুত ও বালুয়ান্না এলাকায় দুটি ট্রেন স্টেশনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা চলাচলকারী প্রায় ২০০ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ২০০ গাড়ির বহর নিয়ে আজ আদালতে হাজির হন রাম রহিম। এ সময় তাঁকে চোখ বন্ধ করে প্রার্থনারত অবস্থায় দেখা যায়। গত রাতেই আধ্যাত্মিক নেতার লক্ষাধিক অনুসারী জড়ো হয়। গতকালই পাঞ্জাব ও হরিয়ানার হাইকোর্ট প্রশাসনকে দায়ী করে বলেন, রাম রহিমের অনুসারীদের ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার।