শুরু হলো জাতীয় কবিতা উৎসব

দৈনিকবার্তা-ঢাকা,১ফেব্র“য়ারি,২০১৬ : কবিতা মৈত্রীর কবিতা শান্তির’ এ স্লোগান ধারণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় লাইব্রেরি চত্বরে শুরু হল দু’দিনব্যাপী কবিতা উৎসব ২০১৬। কবি ও ভাষা-সংগ্রামী তোফাজ্জল হোসেনকে উৎসর্গ করে জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত ত্রিশতম এ উৎসবের উদ্বোধন করেন লেখক সৈয়দ শামসুল হক।জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন শেষে জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত উৎসবের ঘোষণাপত্র পাঠ করেণ জাতীয় কবিতা পরিষদের উপদেষ্টা কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে সকাল ১০টায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, শিল্পী কামরুল হাসানের সমাধি এবং কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উৎসবের আহ্বায়ক কবি রবিউল হুসাইন, যুগ্ম-আহ্বায়ক কবি কাজী রোজী, জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি তারিক সুজাত।

কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্প-সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক অঙ্গনে অবদান রেখে যাঁরা প্রয়াত হয়েছিলেন তাদের স্মরণ করে শোক প্রস্তাব পাঠ করেণ কবি আমিনুর রহমান সুলতান।উদ্বোধকের ভাষণে সৈয়দ হক বলেন, কবিতা মানুষের স্বপ্নের কথা বলে, চেতনার কথা বলে, প্রত্যয়ের কথা বলে। সেই স্বপ্ন আঘাতপ্রাপ্ত হলে কবিদের প্রয়োজন হয়। কবিরাই তখন প্রতিবাদী হয়ে ওঠে।কবিতার সাথে রাষ্ট্রের, সময়ের এবং মানুষের সম্পর্ক রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, কবিতার সঙ্গে সংগ্রামের সম্পর্ক আছে, কারণ কবিতা মানবতার কথা বলে। আর মানবতাকে জাগিয়ে তুলতে হলে কবিদের ভূমিকা রাখতে হয়।সৈয়দ হক বলেন, আমরা শান্তি চাই মেত্রী চাই । এই মেত্রী কেবল রাষ্ট্রের সাথে রাষ্ট্রের নয় মানুষের সাথে মানুষেরও। সেই শান্তির পায়রা আজ বাংলাদেশের আকাশে উড়ছে।উদ্বোধনী পর্ব শেষে অনুবাদক ফকরুল আলমের সভাপতিত্বে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেয় বাংলাদেশ, ভারত, সুইডেন, নরওয়ে, স্লোভাকিয়া, মরক্কো, তাইওয়ান, নেপাল থেকে আমন্ত্রিত কবি-লেখক-প্রতিনিধিরা।