কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তিন ডেপুটি গভর্নর

দৈনিকবার্তা-ঢাকা,১ফেব্র“য়ারি,২০১৬ : তিন ডেপুটি গভর্নর পুনর্নিয়োগ পেতে পারেন বলে আভাস দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বাংলাদেশ ব্যাংকে গভর্নরের পরে ডেপুটি গভর্নর থাকেন চারজন। এখন আছেন একজন। তাঁর নাম আবুল কাসেম। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মন্ত্রী এ কথা বলেন। সোমবার ভূটানের সঙ্গুর স্পিকার জিগমে জাংপোর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে নিজ কার‌্যালয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই ইচ্ছার কথা জানান। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তিন ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা রাজী হাসান, এসকে সুর চৌধুরী ও নাজনীন সুলতানার মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ২২ জানুয়ারি। তাদের পুনঃনিয়োগ চেয়ে গভর্নর এর মধ্যে সুপারিশ করেছেন।২০১২ সালের জানুয়ারিতে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়।

অর্থমন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকেরা জানতে চান, বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিশূন্য হয়ে পড়ছে। এ ব্যাপারে কী হবে? মন্ত্রী বলেন, ওটা হবে। দেখা যাক। তাঁকে আবার প্রশ্ন করা হয়, নতুন নিয়োগ হবে?’ এর উত্তরে মন্ত্রী বলেন, এটা আলাপ করতে হবে। এখন আমার অসুবিধা হলো এদের পুনর্নিয়োগ না দিয়ে নতুন করে কাউকে নিয়োগ দিতে হলে তিন মাস সময় লাগে। এ জন্য সার্চ কমিটি করতে হয়।এ সময় সাংবাদিকেরা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বেড়ে যাচ্ছে। জবাবে মন্ত্রী বলেন, গভর্নর, ডেপুটি গভর্নরের নিয়োগ চুক্তিভিত্তিকই হয়। এটাই ভালো।এখন আমার যেটা সমস্যা হচ্ছে, এদেরকে অ্যাক্সটেনশন না দিলে সার্চ প্রক্রিয়ায় সময় লাগে। তিন মাসের মতো সময় লাগে।তাহলে অ্যাক্সটেনশনই হচ্ছে- এক সাংবাদিকের এমন মন্তব্যে মন্ত্রী বলেন, আশা করছি। আমাদেরকে আলোচনা করতে হবে।এই সমস্যা সম্পর্কে আমরা সবাই সচেতন আছি। আমি আমার মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও।নতুন যোগ্য লোক কী নেই- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আছে আছে, প্রক্রিয়াটা লম্বাতো। আই হ্যাভ টু সেট আপ অ্যা সার্চ কমিটি। দ্যান সার্চ কমিটি উইল ইনভাইট অ্যাপলিকেশন্স। শিউরলি, দেয়ার আর পিপল। আই নো সাম পিপল।বাংলাদেশ ব্যাংকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বেড়ে যাচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর সব সময়ই চুক্তিভিত্তিক, চুক্তিভিত্তিক হওয়া ভালো।বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বোচ্চ দুই পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের পক্ষে বললেও সরকারি কর্মকর্তাদের পারতপক্ষে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ না দিতে ২০১৪ সালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেককে চিঠি দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী।

ভূটানের স্পিকারের সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ভুটান ইজ অলওয়েজ এগার টু এক্সপান্ড রিলেশনশিপ উইথ বাংলাদেশ। তারা খুশী যে, আমরা তাদের ওখান থেকে বোল্ডার নতুন ইমপোর্ট আনছি।আরো ভালো খবর আছে, ভারত বলে দিয়েছে, রাস্তাঘাটের যে সব অসুবিধা আছে, সে সব দূর করা যাবে। সো দ্যাট ইজ ইট।

মন্ত্রী বলেন, সুতরাং পরিবেশ অত্যন্ত ভালো, বিশেষ করে আমাদের তিন চার দেশের মধ্যে পরিবেশ এখন খুবই ভালো। আমাদের দেশের ইতিহাসে কখনোই এতটা ভালো ছিলো না। ঢাকায় নিযুক্ত ভূটানের রাষ্ট্রদূত পেমা চদেন অন্যান্যের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।