Military honour guard stand outside the main building of the new Presidential Palace complex after a welcome ceremony for Russian President Vladimir Putin in Ankara, Turkey, Monday, Dec. 1, 2014. Putin arrived in Turkey for a one-day visit and met with Erdogan at his huge new palace on once-protected farm land and forest in Ankara, becoming the second foreign dignitary after the Pope Francis to be hosted at the lavish, 1000-room complex.(AP Photo/Burhan Ozbilici)

তুরস্কের এলিট প্রেসিডেন্ট গার্ড ভেঙে দেয়া হবে। গত সপ্তাহে দেশটিতে ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টার পর প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রায় ৩শ’ সদস্যকে আটক করার প্রেক্ষাপটে এখন এ বাহিনী ভেঙে দেয়ার কথা বলছে তুর্কি সরকার।প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম শনিবার একটি টিভি চ্যানেলকে বলেছেন, এই রেজিমেন্টের কোনো প্রয়োজন নেই।
গত ১৫ জুলাই রাতে অভ্যুত্থানচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর তুরস্কে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়। শুদ্ধি অভিযানে সেনা, বিচারক, শিক্ষা ও গণমাধ্যমকর্মীসহ ৫০ হাজারের বেশি লোককে গ্রেপ্তার, আটক ও বরখাস্ত করা হয়েছে। ধরপাকড় জোরদার করতে গত বুধবার রাতে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগান দেশজুড়ে তিন মাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।

এছাড়া কোনো অভিযোগ আনা ছাড়াই কাউকে আটক রাখার সময়সীমা চার দিন থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত বাড়িয়ে ডিক্রিও জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে সংসদকে পাশ কাটিয়ে প্রেসিডেন্ট ও কেবিনেটের হাতে নতুন আইন প্রণয়ন কিংবা অধিকার ও স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার ষড়যন্ত্রের জন্য তার একসময়কার কাছের লোক হিসেবে পরিচিত ফেতুল্লা গুলেনকে অভিযুক্ত করে আসছেন। তবে তিনি সে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ফেতুল্লা গুলেনের ভাইপোকে আটক করেছে। এছাড়া তার এক ঘনিষ্ঠ সহযোগীকেও আটক করা হয়েছে। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী ইলদিরিম বলেন, প্রেসিডেন্ট গার্ড আর থাকবে না। এর কোন প্রয়োজন নেই। প্রেসিডেন্ট গার্ডের সদস্য সংখ্যা কমপক্ষে আড়াই হাজার। ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টার পর বাহিনীর অন্তত ২৮৩ জন সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার সরকারি এক বিবৃতিতে এক হাজারের বেশি বেসরকারি স্কুল এবং ১২শ’র বেশি সংস্থা বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তবে শনিবারই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক হওয়া ১২শ’ সৈন্যকে মুক্তি দেয়া হয়েছে বলে তুর্কী গণমাধ্যমে খবর এসেছে।