slide5

দৈনিকবার্তা-ময়মনসিংহ, ১২ মার্চ: সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত বাতিল করায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) এক কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করেছে সুবিধা বঞ্চিত কর্মকর্তারা। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক ডায়েরিতে রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মকর্তাদের পরিচয়ক্রম পরিবর্তন করে মাঝের দিকে দেওয়ায় ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টার অফিস ভাঙচুর এবং নতুন ওই ডায়েরি পুড়িয়ে প্রতিবাদ করেছেন বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা।বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টার অফিস ভাঙচুরের পর ডায়েরিতে আগের ক্রমধারা বহাল রাখতে এক সপ্তাহের আল্টিমেটামও দিয়েছেন তারা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও রেজিস্টার অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেটের ৩০৪তম বৈঠকে বেতন কাঠামো নিয়ে জারি করা সব ধরনের বিজ্ঞপ্তি ও প্রশাসনিক আদেশনামা একটি ফিন্যান্স কমিটি গঠনের মাধ্যমে বাতিল করা হয়। ওই কমিটির সদস্য সচিব পদে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্থাপন শাখা-১ এর ডেপুটি রেজিস্ট্রার বজলুর রহমান। সিন্ডিকেটের ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করায় বজলুর রহমান বেতন কাঠামোগত সব সুবিধা পেলেও অন্যান্য কর্মকর্তারা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়।এর ফলে বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসে বজলুরকে লাঞ্ছিত করে। এসময় তারা অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার ইউছুব আলী মন্ডলের রুম বন্ধ পেয়ে তার দরজায়ও লাথি মারে।

এ বিষয়ে বজলুরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বারবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।বাতিলকরা ওই আদেশনামায় রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর থাকলেও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত কোনো কমিটি বাতিল করতে পারে না বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবদুল খালেক।এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক ডায়েরিতে রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মকর্তাদের পরিচয়ক্রম পরিবর্তন করে বিভিন্ন অনুষদে কর্মরত শিক্ষকদের নাম আগে দেওয়ায় ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টার অফিসের কাঁচ ভাঙচুর করেছেন কর্মকর্তারা।

এসময় তারা ওই অফিসের সামনে নতুন ওই ডায়েরির কয়েকটি কপি পুড়িয়ে ফেলে এবং ডায়েরির ক্রম পুনর্বহালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দেয়।এ বিষয়ে ফিন্যান্স কমিটির সভাপতি ও ছাত্র উপদেষ্টা বিষয়ক অধ্যাপক ড. জহিরুল হক খন্দকার জানান, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত বাতিল নয়। বরং পরিবর্তনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।নতুন ডায়েরির বিষয়ে বলেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে এবং ডায়েরি বাস্তবায়ন কমিটির সব সদস্যের সম্মতিক্রমে ক্রম পরিবর্তন করা হয়েছে। বাস্তবায়ন কমিটিতে রেজিস্ট্রারসহ চারজন কর্মকর্তাও ছিল।