1426334035

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৪ মার্চ: পেট্রোল বোমায় দগ্ধদের ছবি সংবলিত একটি ব্যানার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে টাঙানো হয়েছে।শনিবার সরকার সমর্থিত সচেতন তরুণ প্রজন্ম নামে একটি সংগঠন ব্যানারটি কার্যালয়ের সামনের একটি গাছে টাঙিয়ে দেয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুলশান ২ নম্বর থেকে পদযাত্রা সহকারে সংগঠনটির শতাধিক নেতাকর্মী ৮৬ নম্বর সড়কে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে এলে পুলিশ গুলশান স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে বাধা দেয়শনিবার বেলা ১২টার দিকে সংগঠনটির কয়েকশ’ নেতা-কর্মী গুলশান কার্যালয়ের ঠিক মূল ফটকের সামনে এ ব্যানার টানিয়ে দেন। এ সময় তারা ব্যানারের পাদদেশে ফুল দিয়ে নাশকতানির্ভর আন্দোলন’র শিকার হতাহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। গুলশান মডেল স্কুলের শিক্ষার্থীরাও তাদের সঙ্গে যোগ দেন।

এর আগে বেলা পৌনে ১২টার দিকে সচেতন তরুণ প্রজন্মর আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান উজ্জ্বলের নেতৃত্বে কয়েক শ নেতা-কর্মী খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।এ সময় পুলিশ বাধা দিলে তারা বলেন, আমাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। আমরা ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে বলতে এসেছি- হরতাল-অবরোধের নামে নিরীহ ও সাধারণ মানুষকে পেট্রলবোমা মেরে হত্যা করবেন না। আমাদের সবাইকে শান্তিতে থাকতে দিন।ধ্বংসের রাজনীতি বন্ধ কর, জঙ্গি ও মৌলবাদমুক্ত বাংলাদেশ চাই, জঙ্গিবাদকে না বলুন, শিক্ষার ওপর আঘাত কেন? দেশ ধ্বংসের অপরাজনীতি বন্ধ করুন, নিরাপদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে চাই, এদেও প্রতিহত করুন, স্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন হাতে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনে আসা তরুণদের বেশিরভাগই ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী।

সচেতন তরুণ প্রজন্মের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় আন্দোলন করার অধিকার সবারই আছে। কিন্তু সেই আন্দোলনে সাধারণ ও নিরীহ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হলে আমরা তরুণপ্রজন্ম ঘরে বসে থাকতে পারি না। তাই ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে সহিংস আন্দোলন বন্ধ করার অনুরোধ জানাতে এসেছি।গুলশান মডেল স্কুলের শিক্ষার্থী ফারদিন আহমেদ মিরাজ বলেন, হরতালের কারণে আমরা স্কুলে আসতে পারি না। সব সময় ভয় লাগে। গাড়িতে না উঠে হেঁটে স্কুলে আসি।একই স্কুলের শিক্ষার্থী মো. সায়ফুল ইসরাম সিফাত, আহসানুর রহমান রাকিব, সাইফুদ্দিন ইসলাম, ওমর ফারুক নিহাদ, মেহেদী হাসান সজিব ও নাফিজ আনামও হরতাল-অবরোধের মধ্যে স্কুলে আসতে ভয় লাগে বলে জানান।